শ্রমিকদের সাথে দেশবন্ধু টেক্সটাইলের চেয়ারম্যানের বৈঠক

শ্রমিকদের সাথে দেশবন্ধু টেক্সটাইলের চেয়ারম্যানের বৈঠক

সবাই মিলে কারখানার সুরক্ষার আহ্বান
জাকির হুসাইন
Published : 2023-11-05 13:15:14
Source: Arthosuchak
 

শ্রমিক-কর্মচারীদের উজ্জীবিত রাখতে তাদের সাথে বৈঠক করেছেন দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। শনিবার (৪ নভেম্বর) তিনি নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত কারখানা পরিদর্শনে যান।

বৈঠকে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ কারখানা কখনো বন্ধ হবে না। বরং এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি শুধু আমার নয়, আপনাদেরও সম্পদ। এটিকে হেফাজত করা আমাদের সবার দায়িত্ব’।

তিনি শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাদের যে কোনো সমস্যা জেনে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একটি কম্প্লেন বক্স তৈরি করতে বলছি। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেখানে অভিযোগ জমা দেবেন। আমি বিশ্বের যেখানেই থাকি না কেন, তা আমার কাছে পৌঁছে যাবে।’

চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা কারখানার উৎপাদন বাড়ানো ও এটিকে আগলে রাখার আশ্বাস দেন।

তিনি কারখানা প্রাঙ্গনে একটি গাছের চারা রোপন করেন। পরে শ্রমিকদের সাথে এক টেবিলে বসে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন তিনি।

দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কারখানা পরিদর্শনের সময় কোম্পানির পরিচালক মইনুল হাসান লাল, নির্বাহী পরিচালক হাসান ইমাম তুহিন, মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ মোসাব্বির হোসেন, মহাব্যবস্থাপক মোঃ শহীদুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক ওহীদুল হক রুবেল, হেড অব ওয়াশিং অজান্তা ডি সিলভা।

 

উল্লেখ, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস একটি সমন্বিত ওভেন পোশাক কারখানা। এর রয়েছে ওয়েভিং, কাটিং, ওয়াশিং ও ফিনিশিং ইউনিট। এ কারখানায় প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কর্মরত, যার বড় অংশই সৈয়দপুর-নীলফামারী অঞ্চলের। স্থানীয় কর্মসংস্থানে কোম্পানিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া এ কারখানায় কিছু বিদেশী টেকনিশিয়ানও কর্মরত আছেন।

কারখানাটির মাসিক উৎপাদনক্ষমতা ১৫ লাখ পিস পোশাক। কারখানাটিতে পুরুষ, নারী ও শিশু-কিশোরদের পোশাক তৈরি করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো বিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড এ কারখানার ক্রেতা। এর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রায় সব মানসনদ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস ও দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা অর্থসূচককে বলেন, শ্রমিকরা যে কোনো কারখানার প্রাণ। তাদের সাথে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ থাকা দরকার। আমি বন্ধুর মত তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, তারা যদি মনে করেন, মালিকরা তাদের সাথে আছেন, তাহলে তারা উজ্জ্বীবিত হন, তাদের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা এখন একটা অস্থির সময় পার করছি। এ সময়ে নানা সুযোগসন্ধানী গ্রুপ নানা অপকর্মের মাধ্যমে ক্ষতির চেষ্টা করতে পারে। মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ ও ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকলে তারা কোনো ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না। তাই সব মালিকেরই উচিত শ্রমিকদের কাছে যাওয়া, তাদের আশ্বস্ত করা; তাদেরকে বলা-কারখানার ভাল-মন্দের সাথে শুধু মালিকের সম্পর্ক নেই, শ্রমিকদেরও সম্পর্ক আছে। কারখানা ভাল চললে তারাও ভাল থাকবেন।